https://www.youtube.com/watch?v=cYZGmEYt1uk
বিপ্লব ঘোষ, ঢাকা জেলা প্রতিনিধি.
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা শুরু হতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। আগামী ৮ অক্টোবর শুভ মহালয়ার মধ্যে দিয়ে মা দূর্গা অশুর দমনের শুভ শক্তি নিয়ে পৃথিবীতে আগমন করবেন। তাকে ঘিরে ব্যাপক প্রস্ততি চলছে ঢাকা জেলার ম-পে ম-পে। মৃৎশিল্পীরা ইতোমধ্যে মাটির কাজ শেষ করে রং-তুলির খেলায় মেতে উঠেছেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে এবছর মা দূর্গা ঘোটকে আগমন করবেন, দোলাতে গমন করবেন। ঢাকা জেলা পূজা উদ্ধসঢ়;যাপন পরিষদের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, ঢাকার ধামরাই, সাভার, আশুলিয়া, কেরানীগঞ্জ, নবাবগঞ্জ ও দোহার উপজেলায় প্রায় ৮’ ম-পে পূজার প্রস্তুতি চলছে। উপজেলা প্রশাসন ও পূজা উদ্ধসঢ়;যাপন পরিষদের নেতারা জানান, আগামী ১৪ অক্টোবর পঞ্চমী পূজার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দূর্গাপূজা উদ্ধসঢ়;যাপন শুরু হতে যাচ্ছে। ১৯ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে উৎসব সম্পন্ন হবে। এ বছর দোহার উপজেলায় ৩৬টি ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় ১৬২টি ম-পে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছরের মতো এ বছরেও নবাবগঞ্জ উপজেলায় বেশি পূজা মন্ডপ রয়েছে। এলাকা ঘুরে জানা গেছে, পূজা উপলক্ষে সব বয়সের মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। ঘরে ঘরে আনন্দ জোয়ার বইতে শুরু করেছে। শান্তির দেবী মা দূর্গাকে বরণ করে নিতে কেউ কেউ মার্কেটে যাচ্ছে পূজার নতুন কাপড় কিনতে। বাজারে কেনাকাটর ধুম পড়েছে। অতিথি আপ্যায়নের জন্য পিঠা, খই, মুয়া, মুরি, নারু তৈরির জন্য নারিকেলসহ নানা উপকরণ কিনতে শুরু করেছেন। ঘরে ঘরে চলছে সাজসজ্জা পরিপাটির কাজ। কাশফুল ফোটা শরতের শেষদিকে উৎসবকে পরিপূর্ণভাবে সাজাতে এ দু’উপজেলার সব মন্দিরে মন্দিরে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। চলছে প্রতিমায় রং- তুলির আচঁড়। তাই প্রতিমা তৈরি ও রং-তুলিতে ব্যস্তসময় পার করছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত প্রতিমা শিল্পীরা। নবাবগঞ্জ উপজেলার যন্ত্রাইল গ্রামের প্রতিমা শিল্পী রতন পাল জানান, এবার তিনি দোহার-নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৮টি প্রতিমা শিল্পের কাজ করছেন। কাজ সম্পন্ন করতে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাই সহযোগীদের নিয়ে রং- তুলির কর্মে খুব ব্যস্ত। তিনি আরো বলেন, এ পেশায় সারা বছর কাজ হয় না। দূর্গাপূজার সময়েই প্রতিমার কাজ বেশি হয়। এসময়ের আয়ের টাকায় সারা বছর সংসার চালাতে হয়। নবাবগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিতাই চাঁদ তালুকদার ও দোহার উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি মিহির কান্তি দে জানান, আনন্দ মূখর পরিবেশে মা দুর্গাকে বরণ করার সব প্রস্তুতি হাতে নেয়া হয়েছে। কোন ধরণের ঝুঁিক এড়াতে প্রশাসনের সহায়তা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা কামাল জানান, ম-পের নিরাপত্তায় মন্দির কমিটির সদস্য ছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি রয়েছে। কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনায় আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজর রাখবে। দোহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, নিরাপত্তার স্বার্থে আমাদের সব ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে।
